গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ি যেতে চাইলে প্রথমে নরসিংদীর পাঁচদোনায় আসতে হবে। ঢাকার গুলিস্থান থেকে মেঘালয় ছাড়াও বেশকিছু পরিবহণের বাস পাঁচদোনার পথে যাতাযাত করে। পাঁচদোনা থেকে সিএনজি কিংবা অটোতে চড়ে ডাঙ্গা বাজার পৌঁছে সেখান থেকে সহজেই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়িতে যেতে পারবেন। আবার মহাখালি থেকে কুড়িল বিশ্ব রোড দিয়ে কাঞ্ছন ব্রিজ পার হয়ে মায়ার বাড়ী মোড় হতে অটো নিয়ে গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ী যাওয়া যায়।
গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ি যেতে চাইলে প্রথমে নরসিংদীর পাঁচদোনায় আসতে হবে। ঢাকার গুলিস্থান থেকে মেঘালয় ছাড়াও বেশকিছু পরিবহণের বাস পাঁচদোনার পথে যাতাযাত করে। পাঁচদোনা থেকে সিএনজি কিংবা অটোতে চড়ে ডাঙ্গা বাজার পৌঁছে সেখান থেকে সহজেই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়িতে যেতে পারবেন। আবার মহাখালি থেকে কুড়িল বিশ্ব রোড দিয়ে কাঞ্ছন ব্রিজ পার হয়ে মায়ার বাড়ী মোড় হতে অটো নিয়ে গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ী যাওয়া যায়।
নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা গ্রামের ড্রিম হলিডে পার্ক সংলগ্ন মেহেরপাড়ায় রয়েছে পবিত্র কোরআন শরীফের প্রথম পূর্নাঙ্গ বাংলা অনুবাদক ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ি। বাড়িটি অনেকদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় ২০১৬ সালে ভারতীয় কমিশনারের অনুদানে মূল বাড়ির কাঠামো ঠিক রেখে পুনর্নির্মাণ করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ি সংস্কারের ক্ষেত্রে চুন, সুড়কির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনা মুল্যবান কাঠ ও টালি ব্যবহার করা হয়েছে। আর বাড়ীর অন্দরমহল সাজানো হয়েছে ব্রিটিশ আমলের আসবাপত্র দিয়ে। এছাড়া সামনে স্থাপন করা হয়েছে গিরিশ চন্দ্র সেনের সংক্ষিপ্ত জীবনী সহ একটি আবক্ষ মূর্তি। গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়িতে বর্তমানে জাদুঘর (Bhai Girish Chandra Sen Museum) গড়ে তোলা হয়েছে। জাদুঘরে গিরিশ চন্দ্র সেনের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, বাস্তুভিটায় আবিষ্কৃত প্রত্নতত্ন এবং তাঁর লেখা বই সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহের রবিবার ব্যতিত অন্য ৬ দিন গিরিশ চন্দ্র জাদুঘর সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে।১৮৩৪ সালে নরসিংদী জেলার পাঁচ দোনা গ্রামে গিরিশ চন্দ্র সেন জন্মগ্রহন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একাধারে সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিদ ছিলেন। তিনি ইসলাম ধর্মের অনেক গ্রন্থ নিয়ে গবেষণা ও অনুবাদ করেছেন। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হয়েও গিরিশ চন্দ্র সেনই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি কোরআন শরীফের পবিত্রতা রক্ষা করে বঙ্গানুবাদ করার সাহসিকা দেখিয়ে ছিলেন। ব্রাহ্মধর্ম প্রচারক হিসেবে তাঁকে “ভাই” খেতাবে ভূষিত করা হয়। পরবর্তীতে আরবি, ফার্সি ভাষার ব্যুৎপত্তি অর্জন ও কোরআন হাদিসের প্রথম অনুবাদক হিসেবে তাঁকে “মৌলভি” উপাধি দেওয়া হয়। ১৯১০ সালের ১৫ আগস্ট গিরিশ চন্দ্র সেন মৃত্যুবরণ করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস