তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের নিমিত্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকার এ খাতকে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বব্যাপী প্রয়োগ ও ব্যবহারে কারিগরি সহায়তা নিশ্চিতকরণ; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা সমূহ প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানো, অবকাঠামো নিরাপত্তা বিধান; রক্ষণাবেক্ষণ; বাস্তবায়ন; সম্প্রসারণ মান নিয়ন্ত্রণ ও কম্পিউটার পেশাজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ই-সার্ভিস প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১ জুলাই, ২০১৩ তারিখে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর’ গঠন করা হয়।
এক নজরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরঃ
Øঅধিদপ্তরের নামঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর;
Øপ্রশাসনিক বিভাগঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ;
Øমন্ত্রণালয়ঃ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়;
Øপ্রতিষ্ঠার তারিখঃ ৩১ জুলাই, ২০১৩;
Øবর্তমান অস্থায়ী কার্যালয়ঃ ব্যান্সডক ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা।
ভিশন:
জনগণের দোরগোড়ায় ই-সার্ভিস সেবার মাধ্যমে জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতি, সু-শাসন ও টেকসই উন্নতি নিশ্চিতকরণ।
মিশন:
উচ্চ গতির ইলেক্ট্রনিক্স যোগাযোগ, ই-সরকার, দক্ষ তথ্য প্রযুক্তি মানবসম্পদ উন্নয়ন, সাইবার নিরাপত্তা, তথ্য প্রযুক্তিগত নিত্য-নতুন ধারণা বাস্তবায়ন, কার্যকর সমন্বয়সাধন, প্রযুক্তিগত ধারণা সকলের মাঝে বিস্তার নিশ্চিতকরণ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো, নির্ভরযোগ্য রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি এবং আকর্ষণীয় তথ্য প্রযুক্তি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা।
কৌশলগত উদ্দেশ্য:
১) দেশের সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত উচ্চ গতির ইলেক্ট্রনিক্স সংযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টি করা।
২) সারা দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে যথাযথ অবকাঠামো সৃষ্টি করা।
৩) সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডের সমন্বয়সাধন।
৪) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো হতে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের উদ্দেশ্য কার্যকর রক্ষণাবেক্ষন।
৫) সরকারি পর্যায়ে দক্ষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রোফেশনাল সৃষ্টির লক্ষ্যে আইসিটি সার্ভিস সৃষ্টি।
৬) দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির জন্য প্রশিক্ষিত জনবলের সক্ষমতা বৃদ্ধি।
৭) সরকার ও জনগনের সকল স্তরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি জ্ঞান সম্প্রসারণ।
8) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট আইন, নীতিমালা, গাইডলাইন ও প্রমিতকরণ প্রস্তুতকরণ।
৯) আইসিটি সেবা ও পণ্যের ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ইন্টার-অপারেবিলিটি সৃষ্টি ও রক্ষণাবেক্ষন।
১০)গবেষণা, নিত্য-নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং প্রয়োগে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান।
কার্যাবলী:
১) সরকারের সকল পর্যায়ে আইসিটি’র ব্যবহার ও প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ ও সমন্বয় সাধন।
২) মাঠ পর্যায় পর্যন্ত সকল দপ্তরে আইসিটি’র উপযুক্ত অবকাঠামো সৃষ্টিতে সহায়তা প্রদান, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সাপোর্ট প্রদান।
৩) সকল পর্যায়ের সরকারি দপ্তরে পেশাগত দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন এবং বদলীকরণ।
৪) সকল পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির কারিগরী ও বিশেষায়িত জ্ঞান হস্তান্তর।
৫) সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনবলের সমতা উন্নয়নে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
৬) তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট জনবলের সমতা উন্নয়নে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
৭) তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত জনগণকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সেবা প্রদানে উদ্যোগ গ্রহণ এবং এতদ্বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ, বিতরণ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা।
৮) যন্ত্রপাতি ইত্যাদির চাহিদা, মান ও ইন্টারঅপারেটিবিলিটি নিশ্চিতকরণ।
৯) সকল পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তি আত্মীকরণে গবেষণা, উন্নয়ন ও সহায়তা প্রদান।
১০) অধিদপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মেধা, অভিজ্ঞতা, যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদা প্রদান ও স্বার্থ সংরক্ষণ।
অধিদপ্তরেরনাগরিকসেবাসনদঃ
| সেবারনাম | সেবাগ্রহীতা | সেবাপ্রাপ্তিরসময়সীমা | সেবাদানকারীকর্তৃপক্ষ |
১ | মাঠ পর্যায়ের সকল ধরনের আইসিটি সমস্যার সমাধানে সহায়তা প্রদান। | সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উপকারভোগী জনগন। | সর্বোচ্চ দুই দিন। | প্রধান কার্যালয়, জেলা কার্যালয় ও উপজেলা কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাগণ। |
| আইসিটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ ও কর্মসূচি সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান। | সকল জনগন | সর্বোচ্চ দুই দিন | সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষন সমন্বয়কারী। |
৩ | কল সেন্টারের মাধ্যমে নাগরিক সেবা প্রদান। | সকল জনগন | তাৎক্ষনিক | কল সেন্টার |
৪ | শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থানে স্থাপিত কম্পিউটার ও ভাষা শিক্ষা ল্যাব হতে সেবা গ্রহণ, অভিযোগ ও পরামর্শ সম্পর্কিত। | সকল জনগন | সর্বোচ্চ দুই দিন | সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, সমন্বয়ক ও কল সেন্টার |
৫ | হালনাগাদ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনসাধারণকে সরকারি তথ্য প্রাপ্তিতে সেবা প্রদান। এ সম্পর্কিত যে কোন অভিযোগ ও পরামর্শ। | সকল জনগন | সর্বোচ্চ দুই দিন | ওয়েব সাইটে উল্লখিত কর্মকর্তা |
৬ | সরকারি ও আধা-সরকারি পর্যায়ে আইসিটি কারিগরি সহায়তা প্রদান। | সকল সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান। | সর্বোচ্চ দুই দিন | সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান |
৭ | ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারেগুলোকে সহায়তা প্রদান। | ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা | সর্বোচ্চ দুই দিন | মাঠ পর্যায়ের অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও কল সেন্টার |
৮ | সরকারি অফিস সমূহে বিভিন্ন অনলাইন ই-পদ্ধতি চালুকরণে সহায়তা প্রদান। | সরকারি প্রতিষ্ঠান | সর্বোচ্চ দুই দিন | সকল পর্যায়ের অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ |
৯ | জাতীয় ব্যাকবোন নেটওয়ার্কের সাথে সার্বক্ষনিক সংযুক্ত রাখা। | নেটওয়ার্কে সংযুক্ত সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। | সর্বোচ্চ দুই দিন | সকল পর্যায়ের অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ |
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
· কম্পিউটার শিক্ষা সম্প্রসারণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কর্মদক্ষতা এবং ভাষাগত দক্ষতা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দেশের সকল জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষায়িত কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা।
· স্থানীয় সাইবার কেন্দ্র স্থাপনে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা।
· এসএসসি ও এইচএসসি স্তরে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে শিক্ষাকে উৎসাহী ও অনুপ্রাণিত করতে কম্পিউটার ব্যবহারে state-of-the-art সুবিধা প্রদান করা।
· ভাষা নির্ভরফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং এবং অন্যান্য কর্মদক্ষতাকে ত্বরান্বিত করতে ল্যাব স্থাপন করে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ভাষা শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা।
কার্যক্রমঃ
· সারাদেশের প্রতিটি জেলার ২,০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন।
· প্রতিটি জেলার ১টি করে মোট ৬৪টি উপজেলায় ভাষা প্রশিক্ষণ সফ্টওয়্যার সরবরাহ করে ভাষা প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা।
· ১,০০০ জন শিক্ষককে ০৯টি ভাষার (ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, জার্মান, জাপানীজ, কোরিয়ান, রাশিয়ান, আরবী ও চাইনিজ) প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
· প্রতিটি ল্যাবে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি চালু করা।
ফলাফল/অগ্রগতি:
· এর ফলে এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে আইসিটি শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং স্থাপিত ২০০০টি সুসজ্জিত ও উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধাসম্পন্ন অত্যাধুনিক কম্পিউটার ও ভাষা শিক্ষা ল্যাবগুলো আইসিটি অবকাঠামো হিসেবে বিবেচিত হবে।
· তৃণমূল পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার গ্রাফিক্স ও এনিমেশন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ গ্রহনের পাশাপাশি০৯ টি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ভাষা শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
· বিদেশী ভাষা শিক্ষার ফলে ফ্রিল্যান্সিং এবং বৈদেশিক চাকুরীর ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাবে।
· দেশে বিদ্যমান ভাষা প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটের ( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ) ভাষা প্রশিক্ষকগণ নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০০ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
· প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
· কম্পিউটার ল্যাব সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ও এইচএসসি উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে আয় বর্ধক কর্মকান্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবে।
· দেশব্যাপী পর্যাপ্ত পরিমানে কম্পিউটার জ্ঞান সম্পন্ন জনশক্তি তৈরি হবে।
· ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে বর্তমানে বিদ্যমান ভাষাগত অদক্ষতাজনিত বাধাসমূহ কমে আসবে।
· আন্তর্জাতিক ভাষায় পারদর্শী তরুণ-তরুণীরা ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর বাজারকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
· "জাতীয় আইসিটি নীতিমালা-২০০৯” সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রকল্পের অর্জন জাতীয় আইসিটি নীতিমালা-২০০৯ এর কৌশলগত বিষয়বস্তুর সাথে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর
উপজেলা সদর, নরসিংদী
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস